যাদের আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক ! ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস তালিকা

আয়কর রিটার্ন জমা
Author: Shibli zaman | November 24, 2024

বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো আয়কর, যা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে জনগণের সেবা, অবকাঠামো এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ করে। ক্রমবর্ধমান সচেতনতা এবং কঠোর নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। বাংলাদেশে আয়কর সংক্রান্ত নিয়মকানুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্বারা পরিচালিত হয়, যা করদাতাদের জন্য নীতি, নিয়ম এবং সময়সীমা নির্ধারণ করে, যার মধ্যে ব্যক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য নির্ধারিত সত্তাগুলি অন্তর্ভুক্ত।

আমরা বুঝি, আয়কর রিটার্ন দাখিলের জটিলতা অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এই গাইডটি আয়কর দাখিলের প্রয়োজনীয়তা, প্রক্রিয়া এবং সূক্ষ্ম বিষয়গুলো পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। আপনি একজন ব্যক্তি করদাতা হন বা ব্যবসার মালিক, এই নিয়মগুলো বোঝা আপনাকে সম্মতি বজায় রাখতে এবং অপ্রয়োজনীয় জরিমানা এড়াতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশে যাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক

বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠীর জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এনবিআর নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরি নির্ধারণ করেছে, যার আওতায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। সাধারণ করদাতা, পেশাজীবী এবং ব্যবসায়িকদের জন্য এই প্রয়োজনীয়তাগুলো ভিন্ন হতে পারে। তবে, রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা, নিরীক্ষা এবং আইনগত জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে। নিচে আমরা বাংলাদেশের প্রধান করদাতাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয়তাগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি।

সাধারণ করদাতারা:

  • সাধারণ করদাতাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
    • বেতনভুক্ত কর্মচারী।
    • ভাড়ার আয়ের অধিকারী ব্যক্তিরা।
    • যারা ব্যবসা বা পেশাগত অনুশীলনের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন আয়ের উৎস রয়েছে।
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বাধ্যতামূলক শর্তাবলী নিম্নরূপঃ

১. আয় সীমা: নির্ধারিত সীমার বেশি বার্ষিক আয় হলে ব্যক্তিদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। সর্বশেষ এনবিআর নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই সীমা সাধারণত নিম্নরূপঃ

  • সাধারণ ব্যক্তিদের জন্য: টাকা ৩৫০,০০০
  • নারীদের এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণদের জন্য: টাকা ৪০০,০০০
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এই সীমা ৪৭৫,০০০
  • ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার জন্য সীমা ৫০০,০০০ টাকা।

২. পেশা: কোন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক, বা শেয়ারহোল্ডার কর্মচারী, ফার্মের অংশীদার, কোন নির্বাহী বা  ব্যবস্থাপক পদধারী কোন কর্মচারী, গন কর্মচারী বা কোন অনিবাসী যাহার বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনা আছে।

৩. কর শনাক্তকরণ নম্বর (TIN): কর শনাক্তকরণ নম্বর (TIN) নিবন্ধনধারী বা নিবন্ধনযোগ্য কোন ব্যক্তি ।

৪. রিটার্ন দাখিল প্রমাণ: রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের বাধ্যবাদকতা রয়েছে এমন ব্যক্তি। 

সেবা সমূহ যেগুলোর জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল আবশ্যক

নিম্নলিখিত ৫১টি সেবার যেকোনো একটি গ্রহণ করতে হলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে:

১. ২০,০০,০০০ টাকার বেশি ঋণ।
২. আমদানি/রপ্তানি নিবন্ধন সনদ (নতুন বা নবায়ন)।
৩. সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স (প্রাপ্তি বা নবায়ন)।
৪. সমবায় সমিতি নিবন্ধন।
৫. বীমা কোম্পানির সার্ভেয়ার লাইসেন্স (প্রাপ্তি বা নবায়ন)।
৬. সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় ১০,০০,০০০ টাকার বেশি সম্পত্তি লেনদেন (জমি, ভবন বা ফ্ল্যাট কেনা, বিক্রি, লিজ বা স্থানান্তর)।
৭. ক্রেডিট কার্ড (প্রাপ্তি বা পরিচালনা)।
৮. বিবাহ রেজিস্ট্রার লাইসেন্স (প্রাপ্তি বা নিয়োগ)।
৯. কোনো ব্যবসায়িক বা পেশাগত সংগঠনের সদস্যপদ।
১০. ড্রাগ বা অগ্নি লাইসেন্স (প্রাপ্তি বা নবায়ন)।
১১. পরিবেশগত ছাড়পত্র বা BSTI লাইসেন্স (প্রাপ্তি বা নবায়ন)।
১২. যেকোনো এলাকায় বাণিজ্যিক বা শিল্প গ্যাস সংযোগ।
১৩. সিটি করপোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ (প্রাপ্তি বা পরিচালনা)।
১৪. নৌযান যেমন লঞ্চ, স্টিমার বা ফিশিং ট্রলারের জন্য জরিপ সনদ।
১৫. ইট তৈরির অনুমোদন (পরিবেশ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে প্রাপ্তি বা নবায়ন)।
১৬. সিটি করপোরেশন বা জেলা সদর এলাকায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশুদের ভর্তি।
১৭. সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ (প্রাপ্তি বা পরিচালনা)।
১৮. কোম্পানি এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ (প্রাপ্তি বা পরিচালনা)।
১৯. অস্ত্রের লাইসেন্স (প্রাপ্তি বা নবায়ন)।
২০. আমদানি ঋণপত্র (LC) খোলা।
২১. পোস্ট অফিস সঞ্চয় হিসাব যার পরিমাণ ৫,০০,০০০ টাকার বেশি।
২২. ১০,০০,০০০ টাকার বেশি স্থায়ী আমানত (FD) অ্যাকাউন্ট খোলা বা পরিচালনা।
২৩. ৫,০০,০০০ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র।
২৪. নির্বাচনে অংশগ্রহণ (ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা জাতীয়)।
২৫. শেয়ার্ড ইকোনমি সেবায় অংশগ্রহণ (যেমন রাইড শেয়ারিং বা আবাসন শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম)।
২৬. ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক বা তত্ত্বাবধান কর্মচারী হিসেবে বেতন বা সুবিধা গ্রহণ।
২৭. মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল রিচার্জ সেবার কমিশন।
২৮. পরামর্শ, কেটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কর্মী সরবরাহ বা নিরাপত্তা সেবা থেকে আয়।
২৯. MPO তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের যাদের আয় ১৬,০০০ টাকার বেশি।
৩০. বীমা এজেন্ট লাইসেন্স (প্রাপ্তি)।
৩১. চার চাকার যানবাহনের নিবন্ধন, মালিকানা স্থানান্তর বা ফিটনেস নবায়ন।
৩২. এনজিও ব্যুরো বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির লাইসেন্স (প্রাপ্তি)।
৩৩. বিদেশি অনুদান ছাড়।
৩৪. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পণ্য বা সেবা বিক্রি।
৩৫. কোম্পানি বা সমিতি আইনে নিবন্ধিত ক্লাবের সদস্যপদ।
৩৬. মাল সরবরাহ বা সেবা প্রদান সংক্রান্ত টেন্ডার জমা।
৩৭. কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে মাল বা সেবা সরবরাহ চুক্তি।
৩৮. আমদানি/রপ্তানির জন্য বিল অব এন্ট্রি জমা।
৩৯. RAJUK বা অনুরূপ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভবনের নকশার অনুমোদন।
৪০. স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি, কার্টিজ পেপার বিক্রেতা বা দলিল লেখকের নিবন্ধন বা লাইসেন্স।
৪১. ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, মাইক্রোক্রেডিট, সমিতি বা সমবায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (খোলা বা পরিচালনা)।
৪২. সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া।
৪৩. হোটেল, রেস্তোরাঁ, মোটেল, হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স (প্রাপ্তি বা নবায়ন)।
৪৪. সিটি করপোরেশন এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হলের সেবা।
৪৫. শেয়ার্ড ইকোনমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ (যেমন রাইড শেয়ারিং, বাড়ি ভাড়া)।
৪৬. পরিবেশ ছাড়পত্র, অগ্নি লাইসেন্স ইত্যাদি নবায়ন।
৪৭. শেয়ার্ড সম্পদ বা সেবা পরিচালনা (যেমন রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম)।
৪৮. আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত ব্যবসায়িক বা সংগঠনের সদস্যপদ।
৪৯. বাংলাদেশে কার্যরত এনজিও বা মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স।
৫০. পরামর্শ ও কনসালটেন্সি সেবার কমিশন আয়।
৫১. ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশন বা অন্যান্য নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সীমা অতিক্রান্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

উপরোক্ত সেবাগুলি গ্রহণ করতে হলে আয়ের স্তর নির্বিশেষে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন 

আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য, কিছু নির্দিষ্ট তথ্য ও দলিলপত্র সংগ্রহ করতে হবে। চলুন জেনে নেই কী কী প্রয়োজন: 

ব্যক্তিগত তথ্য:

  • ই-টিআইএন সনদের ফটোকপি: আপনার ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এর ফটোকপি: আপনার পরিচয়ের প্রমাণ।
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি (১ কপি): সাম্প্রতিক ছবি জমা দিতে হবে। 

চাকরিজীবীদের তথ্য:

  • বেতন সনদপত্র: আপনার মোট আয়ের প্রমাণ।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (০১-০৭-২০২৩ থেকে ৩০-০৬-২০২৪): আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ।
  • প্রভিডেন্ট ফান্ড তথ্য (যদি প্রযোজ্য হয়): চাকরির সময় প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিবরণ। 

ব্যবসায়ীদের তথ্য:

  • ট্রেড লাইসেন্স: আপনার ব্যবসার বৈধতার প্রমাণ।
  • বার্ষিক বিক্রয়, ক্রয় ও আয়ের বিবরণ: ব্যবসার মুনাফার বিস্তারিত প্রতিবেদন। 
  • সম্পদ ও দায় বিবরণী: ব্যবসার অধীনে থাকা সম্পদ ও ট্যাক্স দায়ের সারাংশ।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট: ব্যবসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিবরণ। 

বিনিয়োগের তথ্য:

  • ডিপিএস (যদি প্রযোজ্য হয়): আপনার ডিপোজিট পেনশন স্কিমের প্রমাণ।
  • বীমা সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়): বীমা পলিসির তথ্য।
  • শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগ (যদি প্রযোজ্য হয়): শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগের বিবরণ।
  • সঞ্চয়পত্র (যদি প্রযোজ্য হয়): আপনার সঞ্চয়পত্রের প্রমাণ। 

সম্পদ ও দায় বিবরণী:

  • বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট (যদি আপনার নামে রেজিস্টার করা থাকে): রেজিস্টার্ড সম্পত্তির তথ্য।
  • জমি, গাড়ি, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি (যদি আপনার নামে থাকে): আপনার সম্পদের বিবরণ।
  • ব্যাংক ঋণ (যদি আপনার নামে থাকে): আপনার নামে নেওয়া যে কোনো ব্যাংক ঋণের তথ্য।
  • অন্যান্য ঋণ (যদি আপনার নামে থাকে): অন্যান্য ব্যক্তিগত ঋণের বিবরণ।

উপসংহার:

আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাংলাদেশের আইন মেনে চলার জন্য ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানা, শাস্তি বা নিরীক্ষার মতো গুরুতর পরিণতির সম্মুখীন হতে হতে পারে। করের নিয়মাবলী ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই করদাতাদের অবশ্যই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত, বিশেষত যখন বড় আর্থিক লেনদেন জড়িত থাকে।

S. Rahman & Co. এ আমরা কর পরিকল্পনা ও রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদান করি, যা আমাদের ক্লায়েন্টদের কর সম্পর্কিত জটিলতাগুলি সহজে সমাধান করতে সাহায্য করে। আমাদের অভিজ্ঞ পেশাদারদের দল আপনাকে নির্ভুল, সময়মতো এবং এনবিআর-এর নিয়মাবলী অনুযায়ী কর রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে নিবেদিত। আপনি যদি একজন ব্যক্তি, ব্যবসার মালিক, অথবা পেশাজীবী হন, আমরা কর রিটার্ন প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং আপনার করের দায়িত্ব পালন করতে আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

নোট:

যদি আপনি পূর্বে কর রিটার্ন দাখিল করে থাকেন, তবে একটি ফটোকপি নিয়ে আসুন।
আপনার আয়ের উৎসের ওপর নির্ভর করে কর রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে। কর আইন ও সংশ্লিষ্ট পরামর্শের জন্য ইমেইল করুন অথবা সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করুন।
আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিলে কোনো প্রশ্ন থাকলে বা সহায়তা প্রয়োজন হলে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে অগ্রিম কর সম্পর্কিত নিয়মাবলী মেনে চলতে এবং প্রক্রিয়াটি সহজে সম্পন্ন করতে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

Let’s Talk

Explore how SRCO's expertise in audit, accounting, and advisory services can empower your business. Contact us today for tailored financial insights and strategic guidance.

Address

Zeenat Bhaban (5th Floor),
41/1 Kazi Nazrul Islam Avenue,
Kawranbazar, Dhaka 1215.

Phone
+880-1880-200 222
Email
admin@srcobd.com
Social